ঢাকা,রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে আদিবাসী : অধিকার ও মৌল মানবাধিকার

উ হলা থিন রাখাইন ::   বাংলাদেশ একটি একক, স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র দেশ। ২৬শে মার্চ হতে ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে সাড়ে ৯ মাস ব্যাপী ৩০ লাখ তাজা প্রাণের বির্সজনে অসাংপ্রদায়িক, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং স্বাধীনতা অর্জন। বর্তমানে এই দেশে মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৬ কোটিরই কম নয়। বৃহত্তর বাঙালি জনগোষ্ঠী ছাড়াও প্রায় ৩০ লাখ জনসংখ্যার ৫০টিরও অধিক আদিবাসী মানুষ স্বরণাতীতকালে থেকে বসবাস করে আছে। আদিবাসীদের জীবন, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও আশা-আকাক্ষাসহ অন্যান্য অধিকার, মানবাধিকার ও দায়িত্ব জড়িয়ে আছে। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আদিবাসী জনগণের রয়েছে গৌরবোজ্জল ভূমিকা।

রাষ্ট্রের মহান আর্দশ বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে আত্ম-নিয়োগ ও বীর শহীদদিগকে প্রাণোৎসর্গ করে- জাতীয়বাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতার এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠা মাধ্যমে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক সাম্য এবং সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুন্ন রেখে রক্ষণ, সমর্থন

, নিরাপত্তাবিধান প্রণয়ন, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করা অঙ্গীকার বদ্ধ হয়ে ০৪ঠা নভেম্বর, ১৯৭২ খ্রিঃ সংবিধান রচনা ও বিধিবদ্ধ গ্রহণ করেছেন।

আমাদের রাষ্ট্রের নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’। এদেশ হবে একটি বহু ভাষা, বহু জাতি ও বহু সংস্কৃতির এক বৈচিত্র্যময়। “গণ” শব্দটি দ্বারা একাধিক জাতি গোষ্ঠীকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। একইভাবে, সংবিধানের ৯নং অনুচ্ছেদের বলা হয়েছে, একক সত্তাবিশিষ্ট বাঙালি জাতি। আবার, ৬নং অনুচ্ছেদের বলছেন, বাংলাদেশে অধিবাসীদের জাতীয়তাবাদ হবে বাঙালি। যার অর্থ হলো, বৃহত্তর বাঙালি ছাড়া অন্যান্য জাতি গোষ্ঠীদের অধিকার ও অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হয়েছে। এমন কি পরিচয় দিতে পর্যন্ত অপ্রসন্নতা বোধ হয়। বাংলাদেশ কোনো একক ভাষা বা একক জাতির রাষ্ট্র নয়। সংবিধানের ২ক অনুচ্ছেদের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হলেও অন্য ধর্মগুলোর অস্তিত্ব স্বীকার করেছে। কিন্তু দেশের অন্য জাতিগুলোর ভাষার অস্তিত্বের ব্যাপারে সংবিধান ভয়ঙ্কর রকমে অনুচ্চারিত।

জাতিসংঘ আদিবাসী অধিকার ঘোষণাপত্র; ২০০৭ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে অনুমোদিত হয়। এছাড়াও নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদ; ১৯৬৬, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সনদ; ১৯৬৬, আইএলও কনভেনশন নং- ১০৭ ও ১৬৯, শিশু অধিকার সনদ; ১৯৮৯, জাতিগত, নৃ- তাত্ত্বিক, ধর্মীয় ও ভাষাগত সংখ্যালঘুদের অধিকার ঘোষণাপত্র; ১৯৯২, সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্র, ইউনেস্কোর সস্মেলন, জীব বৈচিত্র্য সনদ এবং আঞ্চলিক বিভিন্ন দলিলে আদিবাসীদের অধিকার স্বীকৃত হয়েছে। বিশ্বব্যাংক, ইউএনডিপি, এডিবি, ইফাড, ডানিডা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ আদিবাসী বিষয়ে নীতিমালা আছে। আদিবাসী অধিকার বিষয়ক জাতিসংঘ ও আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন সনদ ও ঘোষণাপত্রে আদিবাসীদের উল্লেখযোগ্য অধিকারসমূহ হচ্ছে- আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার; যার অধিকার বলে আদিবাসীদের অবাধে রাজনৈতিক মর্যাদা নিধারণ, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মপ্রয়াস অব্যাহত রাখা, ঐতিহ্যগতভাবে মালিকানাধীন, দখলীয় বা অন্যথায় ব্যবহার্য্য বা অধিগ্রহণকৃত জমি, ভূ-খ- ও সম্পদের অধিকার, ভূমি ও ভূ-খ-ের, সম্পদ ও পরিবেশ সংরক্ষণে সমষ্টিগত অধিকার, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও উন্নয়নের অধিকার, আইন প্রনয়ণে ও প্রশাসনিক কাজে অংশগ্রহণের অধিকার, সাংস্কৃতিক, আধ্যাত্মিক ও ভাষাগত পরিচিতি, ধর্মীয় ঐতিহ্য সম্পর্কিত অধিকার, মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা ও তথ্য অধিকার, রাষ্ট্র ও আদিবাসীদের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির স্বীকৃতি, পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়নের অধিকার, আদিবাসীদের স্বেচ্ছা-সন্মতি ব্যতীত তাদের ভূমি ও ভূ-খ-ে সামরিক কার্যক্রম হাতে নেয়া যাবে না এবং গণহত্যার, জোরপূর্বক স্থানান্তর ও উচ্ছেদের বিরুদ্ধে পূর্ণ নিশ্চয়তার অধিকার। এছাড়াও আদিবাসীদের নাগরিকত্ব, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র, অধিকারের সমতা, মর্যাদা, আদিবাসী নারী, তরুণ, শিশু ও প্রবীণদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ ইত্যাদি আদিবাসী অধিকার ঘোষণাপত্রে স্থান পেয়েছে।

বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘষ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদিত হয়। যার, পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের প্রতিনিধি জনসংহতি সমিতির সঙ্গে বাংলাদেশে সরকার ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২রা ডিসেম্বর এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এতে বাংলাদেশে সরকারের পক্ষে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং শান্তি বাহিনীর পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি নেতা জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরকালে বলেছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি ধারা সম্পূর্ণ বাস্তবায়ান করা হয়েছেন এবং চুক্তি স্বাক্ষরকালীন সময়ে ২৩২টি অস্থায়ী সেনাক্যাম্প থেকে গত ১৭ বছরে ১১৯টি সেনাক্যাম্প প্রতাহার করা হয়েছে। তবে, জনসংহতি সমিতি তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমা বলেছিলেন, সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি ধারা ইতিমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে বলে দাবি করলেও সত্যিকার অর্থে দুই-তৃতীয়াংশ ধারা এখনও অবাস্তবায়িত অবস্থায় রয়েছে। চুক্তির অবাস্তবায়িত মৌলিক বিষয়সমূহের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের অধ্যুষিত অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ এবং আইনি ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা; পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের আওতাধীন বিষয় এবং কার্যাবলী হস্তান্তর ও কার্যকরকরণ এবং এসব পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিতকরণ; এক্ষেত্রে নির্বাচন বিধিমালা ও ভোটার তালিকা বিধিমালা প্রণয়ন করা; ভূমি কমিশনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি করা; তজ্জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন, ২০০১- এর বিরোধাতœক ধারা সংশোধন করা; সেনা শাসন “অপারেশন উত্তরণ”সহ সব অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করা; পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি মোতাবেক প্রণীত পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন, ১৯৯৮ এবং তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন, ১৯৮৯ (১৯৯৮ সালে সংশোধিত) ইত্যাদি আইনসমূহকে কার্যকর আইন হিসেবে সংবিধানের প্রথম তফসিলে অন্তভূক্ত করা; সেটেলার বাঙালীদের পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে সম্মানজনকভাবে পুর্ণবাসন ইত্যাদি।

অস্ট্রেলিয়ার নর্দান টেরিটরির এক প্রবীণ আদিবাসী নেতা উক্তিতে বলেছেন, ভূমিই আদিবাসীদের অস্তিত্বের কেন্দ্রবিন্দু। ভূমি আমাদের ঠিকানা, অস্তিত্ব। ভূমি আছে বলে জীবন এত গতিময়। ভূমি জীবনের প্রতীক। এ ভূমি আমাদের, আমারও ভূমির। ভূমিতে আমরা বিশ্রাম নিই। আমরা ভূমি থেকে আসি, আর ভূমিতে ফিরে যাই। মহামতী লেনিন বলেছেন, মানুষ তার পিতাশোক ভুলতে পারে কিন্তু ভূমি হারানোর শোক কখনই ভুলতে পারে না।

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি মধ্যে অবাস্তবায়িত গুরুত্বপূর্ণ কিছু ধারার আলোচনা করা হল- ঘ খ-ে ২; চুক্তি অনুযায়ি গঠিতব্য আঞ্চলিক পরিষদের সাথে আলোচনা ক্রমে যথাশীঘ্র পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি জরিপ করা কথা থাকলেও ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া কারণে ভূমি জরিপ বাস্তবায়ন হয়নি।

ঘ খ-ে ৪; জায়গা-জমি বিষয়ক বিরোধ নিষ্পত্তিকল্পে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নেতৃত্বে একটি ভূমি কমিশন গঠিত হলেও অনেক আগে থেকে মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়ে গেছে। এখনো নতুন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নিয়োগ বা মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০১৩ এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন হলেও আদিবাসীদের জায়গা-জমি ও পাহাড় অবৈধ বন্দোবস্ত ও বেদখল হয়ে যাওয়া মালিকানা স্বত্ব বাতিলকরণ পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি।

ঘ খ-ে ১৭(ক); সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে চুক্তি সই ও সম্পাদনের পর এবং জনসংহতি সমিতির সদস্যদের স্বাভাবিক জীবন ফেরত আসা সাথে সাথে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিডিআর) ও স্থায়ী সেনানিবাস (তিন জেলার সদরে তিনটি এবং আলীকদম, রুমা ও দিঘিনালা) ব্যতীত সামরিক বাহিনী, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সকল অস্থায়ী ক্যাম্প তিন পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে পর্যায়ক্রমে স্থায়ী নিবাসে ফেরত নেওয়া কথা থাকলেও এখনো পর্যন্ত সরকার তা বাস্তবায়ন করতে পারে নি।

সরকার তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৮ পাস করেছেন। কিন্তু চুক্তির অনেক আগে থেকে পরিষদের মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ক্ষমতাসীন দলে নেতাকর্মীদের মধ্যে থেকে পরিষদের চেয়াম্যান ও সদস্য পদসমূহ মনোনয়ন দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাই জবাদিহিতা বেলা কিছু নেই। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহার ২০০৮ ও ২০১৪ এর সমতল আদিবাসীদের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি ও অন্যান্য সুবিধার্থে পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করার অঙ্গীকার করেও এখনো ভূমি কমিশন আইনের খসড়া প্রনয়ণ হয়নি এবং আদিবাসীদের ভূমি সুরক্ষা, পার্বত্য চুক্তির অবশিষ্টাংশ বাস্তবায়নসহ তাদের জীবিকার উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু আদতে এসব প্রতিশ্রুতি কর্পূরের মতো উবে যায় সিংহাসনের হাতলে হাত রাখলেই। বলা হয়, যাদের জন্য উন্নয়ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণ থাকতে হবে; আদিবাসীদের ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না। খুবই নীরবে জাতিগত নির্মূলীকরণে সব আয়োজন সারা দেশে চলছে। এটা বন্ধ হওয়ার দরকার।

সরকার আদিবাসীদেরকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া বিভিন্নভাবে অঙ্গীকার করলেও শেষ পর্যন্ত প্রকৃতভাবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। তবে, সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ এর ১৪নং আইনের ১৪ ধারা বলে ২৩ক অনুচ্ছেদ সংযোজন করেন। উক্ত অনুচ্ছেদ বলা হয়েছে যে, উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ- গোষ্ঠী ও সম্প্রদায় হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিলেও শুধুমাত্র সংস্কৃতি অধিকারসমূহ অন্তর্ভূক্ত করেছেন। যার রাষ্ট্র বিভিন্ন উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ- গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অন্যান্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করা কথা উল্লেখ করেছেন। সংবিধানের কোথাও আদিবাসীদের মৌল মানবাধিকারের কথা উল্লেখ নেই। এখন বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থাসমূহ এবং আদিবাসীদের দাবি- পরিপূর্ণভাবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি সাথে সাথে মৌল-মানবাধিকারসমূহ সংযোজন করা।

“বিশ্ব আদিবাসী দিবস সফল হোক”

উ হলা থিন রাখাইন, শিক্ষানবীশ আইনজীবী, জেলা ও দায়রা জজ কোর্ট, ঢাকা।

পাঠকের মতামত: